আমদানি পর্যায়ে ভোজ্য তেলসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের ভ্যাট কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৪ মার্চ) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতথ্য জানিয়েছেন।

দাম সহনীয় রাখতে রোববার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ভোক্তা পর্যায়ে নিত্যপণ্যের ভ্যাট তুলে দেওয়াসহ বেশিকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই কথা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গতকালের বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী এগ্রি করেছেন এবং খুব স্ট্রংলি একটা ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছেন।
‘ভোজ্য তেলের রিটেইলার (ভোক্তা) পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী এসআরওতে সই করেছেন বলে জানিয়েছেন। ’

আজকে নতুন একটা বিষয় সভায় আলোচনা হলো জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মিটিংয়ে একটা অবজারভেশন দেওয়া হলো এবং এনবিআরকে ডিরেক্টিভ দেওয়া হয়েছে যে, ইমপোর্ট পর্যায়ে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে সেটা কতটুকু কীভাবে কমানো যায় দেখতে হবে এবং যথা সম্ভব একটু কম পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে। আমদানি পর্যায়ে যে ভ্যাট আছে সেটা যথা সম্ভব কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য এনবিআরকে বিবেচনা করার জন্য শিগগিরিই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমদানি পর্যায়ে কমালে আমাদের ধারণা যে এটার একটা ডিরেক্ট পজেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে বাজারে।

তিনি জানান, শুধু ভোজ্য তেল নয়, চিনি বা যেগুলো বেশি প্রয়োজনীয় সেগুলোর ক্ষেত্রে ভ্যাট কমাতে বলা হয়েছে। যেটাই খুবই ক্রাইসিসে থাকবে সেটার ক্ষেত্রে একদম কম পর্যায়ে নিয়ে আসা।

ভ্যাট যথা সম্ভব সহনীয় একেবারে লোয়েস্ট রেভেলে নেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এনবিআরকে যথা শিগগিরই বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

একেবারে তুলে দিলে আবার সমস্যা আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পুরোপুরি তুলে নিয়ে এনবিআর বুঝতে পারবে না কী পরিমাণ মালামাল ঢুকলো।